রোগ নিরাময়ে জিরার জাদুকরী গুণ
প্রাচীনকাল রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে জিরা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। জিরা শুধু মশলা নয়, বহু রকমের বিশেষ ঔষধি গুণ সম্পন্ন। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় তা নয়, শরীরের নানা সমস্যা সমাধানে জিরার জুড়িমেলা ভার। আপনার হজম ক্ষমতার উন্নতির পাশাপাশি নানা রকমের পেটের রোগ সারাতে প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। অ্যাজমার প্রকোপ কমাতে এবং ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজে আসে।
তবে এই জিরার যে দারুণ সব পুষ্টিগুণ আছে সেটা আমরা অনেকেই জানি না। একশ গ্রাম জিরায় ৩৭৫ ক্যালোরি থাকে। এছাড়া এতে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, পটাশিয়ামসহ বেশি কিছু ভিটামিনও থাকে। জিরার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুগন্ধি এই মশলাটি আমাদের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত আরও সব লক্ষণ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই কারণেই তো হবু মায়েদের প্রতিদিন ১ গ্লাস গরম দুধে হাফ চামচ জিরা এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যাদের রাতের বেলা ভাল করে ঘুম আসে না, তারা প্রতিদিন ঘুমনোর আগে ১ চামচ চটকানো কলার সঙ্গে হাফ চামচ জিরা পাউডার মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। ওষুধটি খেলে ঘুমের আর কোনও সমস্যা হবে না। মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যা ঘুম আসার ক্ষেত্রে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।
জিরার পানিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল , অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ যা ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের প্রকোপ কমায়। আসলে প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্রইবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
ভাইরাল ফিভার এবং ওই সংক্রান্ত নানাবিধ কষ্ট কমে যায়। জ্বর কমাতে ১ চামচ জিরা এবং অল্প পরিমাণ আদা, ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন প্রথমে। জলটা ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিন। আর পান করুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।
কোষ্টকাঠিন্যের মতো রোগসারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাইলসের কষ্ট কমাতেও জিরা দারুণভাবে সাহায্য করে।এক্ষেত্রে ১ চামচ জিরা ভেজে নিয়ে গুঁড়া করে নিন। তারপর পাউডার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতে পারেন জিরা ভেজানো পানি। রাতে দুই টেবিল চামচ জিরা একগ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পর দিন সেই পানি সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। জিরা পানিতে আয়রনের পাশাপাশি বেশ ভালো পরিমাণ ভিটামিনএ যাতে কে অ্যান্ট- অক্সিডেন্টের সুবিধা পাওয়া যায়।
এছাড়া লম্বা এবং ঝলমলে চুলের জন্য জিরা অসাধারণ কার্যকরী একটি উপাদান। ৩/৪ গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ জিরা গুড়া এবং একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পুরো চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার ব্যবহার করলে চুল পোড়া কমবে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
Reviews
There are no reviews yet.